February 09, 2025

EIIN: ১২০৬০৩ | মোবাইল: ০১৭১৪৫-৬৯৫-৮৯

অধ্যক্ষের বাণী

শিক্ষা মানুষের জীবনকে আলোকিত করে এবং উন্নতির সোপানে এগিয়ে নিয়ে যায়। বুলিয়া বাজার কলেজে আমরা সেই আলোর বাহক হতে বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, নৈতিকতা, এবং দক্ষতার মিশ্রণে তাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়তা করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

সেই ১৯৯৯ সালে যার পথচলা শুরু হয়েছিল, আজ প্রায় ২৫ বছরের মাথায় এসে বুলিয়া বাজার কলেজ এক প্রবীণ ও গর্বিত মূর্তিধারণ করেছে। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে আমরা অসংখ্য বিদুষী ছাত্র-ছাত্রীর জন্ম দিতে পেরেছি, যারা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।

আমাদের প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র একাডেমিক ক্ষেত্রে নয়, বরং সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম, সংস্কৃতি, এবং মানবিক গুণাবলীর বিকাশেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির সমন্বয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করছি।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। তাদের সাফল্যই আমাদের প্রেরণা।

আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা এবং আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বুলিয়া বাজার কলেজ একটি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।


শুভ কামনায়,

নাজমা শিরীন

অধ্যক্ষ
বুলিয়া বাজার কলেজ


আমাদের প্রতিষ্ঠান

১৯৯৮ ইং সালের কতিপয় সচেতন ব্যক্তিত্ব অত্র অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগােষ্ঠীর মধ্যে উচ্চ শিক্ষার আলাে ছড়িয়ে দিতে কাহারােলে বুলিয়া বাজার নামক স্থানটিতে একটি কলেজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১ম শিক্ষা বর্ষে ১২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে অগ্রযাত্রা শুরু হয়। ২০০৫ইং সালে পার্শ্ববর্তী ৫ টি উপজেলার মধ্যে শুধু মাত্র বুলিয়া বাজার কলেজ থেকে জিপিএ- ৫ অর্জন করে সেই সময় এলাকাবাসীর আশ্বস্ত করতে সক্ষম হয় এবং আরও পরে ধারাবহিকভাবে বেশ কিছু শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করে সরকারী মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস. ডিগ্রী অর্জন করে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য অনেক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগত্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, গােপাল গঞ্জ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রােকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মােহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম দিকে মেধাক্রম অর্জন করে। কেউ কেউ লেখাপড়া শেষ করে ভালাে ভালাে চাকুরি করছে এবং শুরু থেকে আজ অবধি থানা পর্যায়ে জাতীয় পরীক্ষায় সম্মানজনক অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, বাের্ড চেয়ারম্যান সহ দিনাজপুর জেলার গুণী-মানী ব্যক্তিদের কাছে যথেষ্ঠ সমাদৃত এই প্রতিষ্ঠানটি। বি.এম শাখা সহ রােভার জাতীয় কার্যক্রম চালু থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে প্রানের সঞ্চার হয়েছে। আগামী দিন গুলােতে এভাবেই সকলের আন্তরিক সহযােগীতা কামনা করে- পথ চলতে চাই।

Teacher's Day
Annual Sports
21st february